18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
ওমানের ভিসা কবে খুলবে জানতে চাপুনসম্মানিত পাঠক বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কেউ কাজের উদ্দেশ্যে আবার কেউ পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আবার কেউ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকে। এজন্য অনেকেই জানতে চায় 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। আজকে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমানে 18 বছর বয়সেই বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে পূর্ণবয়স্ক নাগরিক হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। অনেক যুবক-যুবতী এই বয়সে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে চায়, আবার কেউ উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চায়, আবার কেউ জবের জন্য যেতে চায়। কোন কোন দেশে 18 বছর বয়স হলে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্রমিক। আবার এমন এমন ব্যক্তি রয়েছে যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।
যাইহোক আমাদের আজকের আলোচনা হচ্ছে কোন কোন দেশে আপনি শ্রমিক হিসেবে যেতে পারবেন, ভ্রমণের জন্য যেতে পারবেন এবং লেখাপড়ার জন্য যেতে পারবেন সে সম্পর্কে। বিভিন্ন দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন নিয়ম কানুন রয়েছে। নির্দিষ্ট বয়স না হলে অনেক সরকার ভিসা প্রদান করে না।
আরও পড়ুন অনলাইনে বিদেশে চাকরির আবেদন
তবে ১৮ বছর বয়সে মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হয় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী। তবে কিছু কিছু দেশে মানুষদেরকে আরও কম বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয়। ১৮ বছর বয়সে আপনি বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। চলুন আমরা এখন সেই বিষয়ে আলোচনা করব।
18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
18 বছর বয়সে একজন মানুষ বিভিন্ন দায়িত্ব নিতে শিখে যায়। এই বয়সে একজন মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হিসেবে পরিচিত পায় এবং স্বাধীনতার নতুন অধ্যায় শুরু করে।
যারা চিন্তা করছেন 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং উচ্চশিক্ষা, জব বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়, তাদের জন্য বলি আপনি কিন্তু সকল দেশের 18 বছর বয়সে যেতে পারবেন না। তাহলে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
১. শিক্ষার জন্য 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
শিক্ষার জন্য যেসব দেশে 18 বছর বয়সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আপনি যেতে পারবেন সেসব দেশ হলো:
- কানাডা
- ইংল্যান্ড
- অস্ট্রেলিয়া
- আমেরিকা
- জার্মানি
- চীন
- জাপান
- দক্ষিণ কোরিয়া
- ফ্রান্স
- ইতালি
- রাশিয়া
- তুরস্ক
- বেলজিয়াম
- সুইডেন
- নেদারল্যান্ড
- অস্ট্রেলিয়া
- হাঙ্গেরি
- মালয়েশিয়া
- সিঙ্গাপুর
- জর্জিয়া
সকল দেশে আপনি শিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলী মান্য করে।
২. ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
অনেক 18 বছর বয়সী ভাই-বোন রয়েছেন যারা ভ্রমণের জন্য অথবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য অথবা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে চান। এই বয়সে যে সকল দেশে আপনি যেতে পারবেন তা হলো:
- মালদ্বীপ
- নেপাল
- সেশেলস
- মালয়েশিয়া
- থাইল্যান্ড
- আজারবাইজান
- তুরস্ক
- কাতার
- বাহরাইন
- কুয়েত
- মরক্কো
- জর্জিয়া
- আর্মেনিয়া
এ সকল দেশের নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন নির্দিষ্ট দিনের জন্য। আপনারা যদি ১৮ বছর বয়স হয়ে থাকে তাহলে এ সকল দেশের ভ্রমণ করতে পারবেন।
৩. কাজ শেখা অথবা স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যেসব দেশে 18 বছর বয়সে যাওয়া যায়
- জাপান
- জার্মানি
- দক্ষিণ কোরিয়া
- অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া
- সিঙ্গাপুর
- মালয়েশিয়া
দক্ষিণ কোরিয়াতে সাধারণত ১৯ বছর বয়সে কাজ শেখার জন্য যাওয়া যায়। এছাড়া উপরোক্ত দেশগুলোতে নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী কাজ শেখার জন্য বা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য যেতে পারবেন।
৪. ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা নিয়ে যেসব দেশে 18 বছর বয়সে যাওয়া যায়
- কানাডা
- যুক্তরাজ্য
- যুক্তরাষ্ট্র
- অস্ট্রেলিয়া
- ইউনাইটেড আরব আমিরাত
- সৌদি আরব
- ব্রাজিল
- মেক্সিকো
- আর্জেন্টিনা
যেসব দেশে 18 বছর বয়সে ভিসা পাওয়া কঠিন
- যুক্তরাষ্ট্র
- নিউজিল্যান্ড
- ইসরাইল
- আফ্রিকান কিছু দেশ
এ সকল দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে এবং ফান্ডিং হাই থাকতে হবে। স্পেশাল ক্লিয়ারেন্স দিতে হবে এছাড়া আফ্রিকান কিছু দেশে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকতে পারে।
FAQ: 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
1. 18 বছর বয়স হলে বিদেশে যাওয়া যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই যাওয়া যায়। কেননা বাংলাদেশের নাগরিকদের ১৮ বছর পূরণ হলে তারা পাসপোর্ট, ভিসা, এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট তৈরি করার অধিকার রাখে। এ সকল ডকুমেন্ট দিয়ে তারা স্বাধীনভাবে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ, লেখাপড়া এবং বিভিন্ন জবের জন্য যেতে পারে।
2. 18 বাজার বয়সে বিদেশ যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
উত্তর: প্রাপ্ত বয়স্ক হলে অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স হলে বিদেশ যেতে সাধারণত যেসব কাগজপত্র লাগে তা হলো:
- আপনার অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আপনি যদি পড়াশুনার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- কিছু কিছু দেশের জন্য আপনার অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পন্সর প্রমাণ থাকতে হবে।
- অনেক সময় IELTS / TOEFL এর প্রয়োজন হয়।
- আপনার কাছে যদি আমন্ত্রণ-পত্র অথবা ভর্তি পত্র থাকে তাহলে সেটি কাছে রাখবেন।
- এছাড়া অবশ্যই মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স এবং ভিসা ফি প্রয়োজন হবে।
3. 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ভিসা ছাড়া বা সহজ ভিসায়?
উত্তর: যে সকল দেশে ভিসা ছাড়া বা সহজ ভিসায় আপনি সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন সেসব দেশগুলো হলো:
- নেপাল
- মালদ্বীপ
- থাইল্যান্ড
- জর্জিয়া
- আর্মেনিয়া
- সেশেলস
4. ১৮ বছর বয়স হলে ভিসার জন্য আবেদন করতে কি অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হয়?
উত্তর: আপনারা যদি ১৮ বছর বয়স হয় তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। কিন্তু ফ্যামিলি স্পন্সর অথবা স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য অনেক সময় স্পন্সর অথবা গার্ডিয়ান ফান্ডিং দেখানোর প্রয়োজন হয়।
উপসংহার
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা, ভ্রমণ ভিসা, ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা ইত্যাদি ভিসা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। 18 বছর এমন একটি বয়স, যে বয়সে তরুণ তরুণীরা তাদের স্বপ্নপূরণের জন্য বিভিন্ন দেশে যেতে চায়। 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে দেশ গুলোর নাম আমরা উপরে জানিয়েছি।
বিদেশের যেকোনো কাজে সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন, সঠিক তথ্য এবং কাগজপত্র জমা দিবেন এবং আপনার উদ্দেশ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন। কোনরকম সমস্যায় পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন প্রবাস থেকে মামলা করার নিয়ম
সম্মানিত পাঠক আপনি জানতে পারলেন 18 বছর বয়সে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। অন্যের উপকারের জন্য আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। আর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুন অথবা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।
অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url