বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫ - বিদেশ থেকে পার্সেল আনার উপায়

আজকের এই আর্টিকেলটি যারা বিদেশে ভ্রমণ করতে গিয়েছেন এবং যারা প্রবাসী রয়েছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আজকে আমরা আলোচনা করব বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম এবং বিদেশ থেকে কোন কোন পণ্য আনা যায়, FedEx এ বিদেশ থেকে পার্সেল আনার উপায়, DHL এ বিদেশ থেকে পার্সেল আনার উপায় সম্পর্কে।
বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫
এছাড়া আপনি আরও জানতে পারবেন বিদেশ থেকে কুরিয়ারে পার্সেল আনার নিয়ম সম্পর্কে। বিদেশ থেকে আপনি দেশে বসেই প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারবেন এমন বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। এমনকি আপনার বাড়িতে সরাসরি প্রোডাক্ট পৌঁছনো সম্ভব। যাইহোক বিদেশ থেকে পার্সেল আনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে যেকোনো পণ্য বিদেশ থেকে আনানো এবং বিদেশে পাঠানো অনেক সহজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিদেশি ওয়েবসাইটে যেমন আমাজন, আলিবাবা ডটকম ইত্যাদি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পণ্য অর্ডার করে থাকে। এগুলো প্ল‍্যাটফর্ম বিদেশী হওয়ার কারণে অনেকেই জানেন না যে কিভাবে বিদেশ থেকে পণ্য আনা সম্ভব।

২০২৫ সালে বিদেশ থেকে পণ্য আনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন পরিবর্তন হয়েছে। যেমন আগে সর্বোচ্চ আটটি মোবাইল ফোন বিদেশ থেকে আনা যেত, কিন্তু বর্তমানে সর্বোচ্চ তিনটি মোবাইল ফোন আনা যায়। এছাড়া কর ও শুল্ক-নীতি অনেকেই জানেন না।

বিদেশ থেকে পণ্য আনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দেশে এসে ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে পণ‍্যের মূল্য অনুযায়ী। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়গুলো জেনে নেই। শুরুতে জেনে নিব বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে।

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫ সালে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তবে আগের চেয়ে সুযোগ সুবিধা বেড়েছে এবং বর্তমানে বিদেশ থেকে পার্সেল আনতে বেশি সময় লাগে না। বিদেশ থেকে পার্সেল আনার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম নির্ভর করে আপনি কোন উপায়ে পার্সেলটি আনতে চান।

কেননা বিভিন্ন উপায়ে বিদেশ থেকে পার্সেল আনা যায়। আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পার্সেল আনেন তাহলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ভাবে পার্সেল আনার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কিছু নিয়ম রয়েছে।
আপনি যদি এসব নিয়ম এবং শর্ত মেনে না কাজ করেন তাহলে আপনার পার্সেল হাতে পেতে সমস্যা হতে পারে। নিচে পার্সেল আনার ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মানতে হবে তা তুলে ধরা হলো।

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার ক্ষেত্রে যিনি বিদেশ থেকে পার্সেল পাঠাবেন এবং যিনি পার্সেলটি গ্রহণ করবেন তার নাম এবং ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। প্রেরক এবং প্রাপকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী নাম এবং ঠিকানা প্রদান করার চেষ্টা করতে হবে। ভুল তথ্য দিলে পার্সেল কাস্টমস অথবা কুরিয়ার এ আটকে যেতে পারে।

যিনি পণ্য বা পার্সেল পাঠাবেন তাকে অবশ্যই পণ‍্যের প্রকৃতি এবং সঠিক মূল্য প্রদান করতে হবে। আপনার পার্সেলে কি কি ধরনের পণ্য রয়েছে এবং তার মূল্য ডিক্লারেশনে প্রদান করতে হবে। আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য পাঠিয়ে থাকেন অথবা আনাতে চান তাহলে তারাই আপনাকে কাস্টমস প্রসেস করে দিবে এবং তার জন্য তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ দাবি করবে।

এছাড়া নিজের লোকের মাধ্যমে যদি পার্সেল আনান বিদেশ থেকে তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে পার্সেল আনাতে হবে। ব্যক্তিগত পণ্য আনার জন্য শুল্ক প্রদান করতে হয় না। তবে নতুন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের জন্য শুল্ক প্রদান করতে হবে। বাণিজ্যিক পার্সেল হলে অবশ্যই লাইসেন্স থাকা জরুরী।

বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য, অস্ত্র, রাসায়নিক পদার্থ, জীবজন্তু, প্রাপ্ত-বয়স্কদের পণ্য ইত্যাদি পার্সেল আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ সকল প্রোডাক্ট আনতে হলে সরকারের বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হবে।

কুরিয়ার সার্ভিস অথবা ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল আনার ক্ষেত্রে আপনার পার্সেল এর লোকেশন আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন তাদের থেকে নির্দিষ্ট নাম্বার নিয়ে। কাস্টমস ক্লিয়ার হলে কুরিয়ার সার্ভিসের লোকজন আপনার বাসায় এসে পার্সেল দিয়ে যাবে যদি আপনি চান।

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার উপায়

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার অনেক উপায় রয়েছে। অনেক সময় যারা বিদেশ থাকে তাদের সহকর্মী দেশে আসে। প্রবাসীরা সহকর্মীর মাধ্যমে চাইলে পার্সেল পাঠাতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমেও সহজেই পার্সেল পাঠানো যায় অথবা আনা যায়।

আপনি চাইলে ডাক্তার সার্ভিসের মাধ্যমেও বিদেশ থেকে পার্সেল আনাতে পারবেন। অনেক ধরনের বিদেশি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ঘরে বসে বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো থেকে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন।

তবে বেশিরভাগ মানুষ বিদেশ থেকে পার্সেল আনার জন্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। যেমন DHL, FedEx, UPS ইত্যাদি। এসব কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য আনতে ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এছাড়া কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সহ বিভিন্ন জরুরী কাজ তারা নিজেরাই করে দেয়। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে।
এছাড়া আপনি যদি কম খরচে সহজে ছোট পার্সেল আনতে চান তাহলে ডাক বিভাগ আপনার জন্য সেরা মাধ্যম হতে পারে। এ সকল উপায়ে আপনি সহজেই বিদেশ থেকে পার্সেল আনতে পারবেন।

বিদেশ থেকে কোন কোন পণ্য আনা যায় | বিদেশ থেকে কোন কোন পণ্য আনা যাবে না

বিদেশ থেকে কোন কোন পণ্য আনা যায় এবং কোন কোন পণ্য আনা যায় না সে সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। ২০১৪ ২৫ বাজেট অনুযায়ী যে সকল পণ্য বিদেশ থেকে আনা যাবে এবং যে সকল পণ্য বিদেশ থেকে আনা যাবে না এ সকল পণ্যের নাম নিচে দেওয়া হলো:

বিদেশ থেকে কোন কোন পণ্য আনা যায়

  • মোবাইল
  • ল‍্যাপটপ
  • ডেক্সটপ
  • সিলিং ফ‍্যান এবং টেবিল ফ‍্যান
  • রাইস কুকার এবং প্রেসার কুকার
  • গ‍্যাস ওভেন
  • মাইক্রোওয়েভ ওভেন
  • ইলেকট্রিক ওভেন
  • টোস্টার
  • স‍্যান্ডউইচ মেকার
  • ব্লেন্ডার
  • কফি মেকার
  • ফুড প্রসেসর
  • ইউপিএস
  • স্ক‍্যানার
  • প্রিন্টার
  • ২০০ গ্রাম রুপা অথবা রুপার জিনিস আনতে পারবেন
  • ২২ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ নিয়ে আসতে পারবেন। তবে একই স্বর্ণের আইটেম ১২টির বেশি আনতে পারবেন না।
  • প্রতিবন্ধী রোগীর জন্য হুইল চেয়ার এবং ঔষধ
  • বিভিন্ন আসবাবপত্র

বিদেশ থেকে কোন কোন পণ্য আনা যাবে না

  • বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা যে সকল পণ্য বিদেশ থেকে আনতে পারবেন না তাহলো:
  • অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য।
  • ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ।
  • শুকরের মাংস এবং শুকরের মাংস দিয়ে তৈরি এমন কোনো খাদ্য।
  • বাংলাদেশ সরকার যে সকল বিদেশি পণ্য ব্যান্ড করে দিয়েছে সে সকল পণ্য বাংলাদেশে আনতে পারবেন না।
  • ব্যবসায়িক লাইসেন্স ছাড়া কোনো পণ্য ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমাণ নিয়ে আসতে পারবেন না।
  • সৌদি আরব থেকে ৫২ কেজির বেশি মালামাল আনতে পারবেন না।
  • শ্রীলংকা থেকে ৪৭ কেজির বেশি মালামাল আনতে পারবেন না।
  • কাতার থেকে সর্বোচ্চ ৫২ কেজির বেশি মালামাল আনা যায় না।
  • দুবাই থেকে ৬৩ কেজির বেশি জিনিস আনা যাবে না।
  • ওমান থেকে ৪৭ কেজির বেশি জিনিস আনতে পারবেন না।

FedEx এ বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ও উপায়

আপনি যদি অনলাইনে বিদেশি প্ল‍্যাটফর্ম থেকে পণ্য অর্ডার করে থাকেন আর সেটা যদি FedEx এর মাধ্যমে গ্রহণ করতে চান তাহলে প্রথমে সেই বিদেশি প্ল‍্যাটফর্মকে জানাতে হবে আপনি FedEx এর মাধ্যমে পণ্য বা পার্সেল নিতে চান।

তারা রাজি হলে এবং পার্সেল পাঠালে FedEx থেকে আপনাকে কল করা হবে এবং জানানো হবে আপনি কবে নাগাদ পার্সেল হাতে পেতে পারেন। তারা নিজেরাই কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স করে দিবে। তারা আপনাকে জানাবে বাংলাদেশে থাকা কোনো এজেন্ট এর মাধ্যমে আপনি ক্লিয়ারেন্স করবেন কিনা, নাকি আপনি ফেডেক্স এর মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স করাবেন।

আপনি যদি তাদের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স করাতে চান তাহলে তারা মোবাইল করেই আপনাকে বলে দিবে কত টাকা খরচ হবে। আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে আপনার ই-মেইলে নোটিশ পাঠাবে এবং আপনাকে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ছবি দিতে হবে এবং আপনাকে Agree লিখতে হবে।

পার্সেল পৌঁছে গেলে আপনাকে তারা আবারও কল দিবে এবং বলবে আপনি তাদের অফিসে এসে পার্সেল নিবেন নাকি হোম ডেলিভারিতে পার্সেল নিবেন। হোম ডেলিভারিতে পার্সেল নিতে চাইলে আপনাকে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। তবে তাদের ডেলিভারি সিস্টেম খুবই ভালো।
হোম ডেলিভারি নিলে আপনাকে একটি কাগজ দেওয়া হবে যেখানে লেখা থাকবে কোথায় কোথায় কি কি খরচ হয়েছে। এভাবে আপনি খুব সহজেই ফেডেক্স এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে পার্সেল আনতে পারেন।

DHL এ বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ও উপায়

DHL এর মাধ্যমে আপনি চাইলে সহজেই বিদেশ থেকে যেকোনো ধরনের বৈধ পণ্য বা পার্সেল আনতে পারবেন। আপনি তাদের মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করলে অথবা বিদেশ থেকে কেউ আপনার জন‍্য DHL এ পণ্য পাঠালে DHL থেকে আপনার ঠিকানায় একটি ডকুমেন্ট পাঠানো হবে যেখানে পার্সেলের ছবি সহ বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকবে।

কাস্টমস এর প্রোডাক্ট পৌঁছানোর পর আপনার যদি এজেন্ট থাকে তাহলে আপনি এজেন্টের মাধ্যমে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স করে প্রোডাক্ট তুলে নিয়ে আসতে পারেন অথবা আপনি চাইলে অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে DHL এর মাধ্যমেই কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স করাতে পারেন।

তারপর প্রাপ্ত ডকুমেন্ট এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ DHL অফিসে যেতে হবে পার্সেল রিলিজ করানোর জন‍্য। আপনি তাদেরকে টাকা দিলে পার্সেল রিলিজ করে দিবে। এভাবে আপনি অনেক সহজেই DHL এ বিদেশ থেকে পার্সেল আনতে পারবেন।

FAQ: বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১. প্রবাসীদের বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম বা পাঠাবো কি করে?

উত্তর: প্রবাস থেকে দেশে পার্সেল অনার নিয়ম অনেক সহজ। আপনি চাইলে আপনার নিকটবর্তী কোনো কুরিয়ারে গিয়ে যোগাযোগ করে খুব সহজেই পার্সেল পাঠাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

এছাড়া আপনি নিজেই পার্সেল আনতে চাইলে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স করে আপনার পণ‍্যের মূল্য অনুযায়ী কর পরিশোধ করে সহজেই দেশে পার্সেল আনতে পারবেন। নিষিদ্ধ পণ‍্য অনা যাবে না। আর এয়ারলাইন্সের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

২. যদি কাস্টমস কোনো কারণে পার্সেল আটকায় তাহলে কি করবো?

উত্তর: যদি কাস্টমস কোনো কারণে পার্সেল আটকায় তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ইনভয়েস দিয়ে পার্সেল ছাড়াতে পারেন। এছাড়া কুরিয়ারের মাধ্যমে যদি পার্সেল এনে থাকেন তাহলে তারাই পার্সেল ছাড়িয়ে নিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে তাদের অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করতে হবে।

৩. বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কয়টি মোবাইল ফোন পাঠানো যাবে?

উত্তর: আগে বিদেশ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন দেশে পাঠানো যেত, কিন্তু বর্তমানে সর্বোচ্চ একটি মোবাইল ফোন পাঠানো যাবে এমন নিয়ম করা হয়েছে।

শেষ কথা

বিদেশ থেকে পার্সেল আনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সচেতন হতে হবে যাতে কোনো সরকারি নিয়ম নীতি লঙ্ঘন না হয়। নয়তো জরিমানা সহ আপনার জেল পর্যন্ত হতে পারে। আর কুরিয়ারে আপনার নাম, ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান করুন। প্রয়োজনে বারবার চেক করে নিন।

যে সকল পণ্য বিদেশ থেকে আনা নিষিদ্ধ সে সকল পণ্য আনার চিন্তাভাবনাও করবেন না। সঠিক নিয়ম নীতি মানলে সহজে বিদেশ থেকে পার্সেল আনা যায়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। তাহলো অনেক সময় বেসরকারী কুরিয়ার সার্ভিসে আপনি যদি কোনো ইলেকট্রিক পণ্য নিয়ে আসেন এবং ইলেকট্রিক পণ্যের মধ্যে যদি অ্যালুমিনিয়ামের ব্যাটারি থাকে তাহলে আপনার থেকে অতিরিক্ত কর দাবি করতে পারে।
সম্মানিত পাঠক আপনি জানতে পারলেন বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম ২০২৫ এবং বিদেশ থেকে পার্সেল আনার উপায় সম্পর্কে। আপনার আরও কিছু জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন ইনকাম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url